৪৩. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ্ বলেছেন, “ও হে আদম সন্তান। যতক্ষণ তুমি আমায় স্মরণ কর ততক্ষণই তুমি আমার শুকরিয়া আদায় কর। আর যতক্ষণ তুমি আমাকে বিস্মৃত থাক ততক্ষণ তুমি আমার প্রতি নাশুকর থাক।”
ইবন্ শাহীন এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
‘মুমিনের ডাক’ আল্লাহর খুব প্রিয়ঃ
৪৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয় বিশ্বাসী মু’মিন বান্দা আল্লাহকে ডাকে, অনন্তর আল্লাহ্ তা পছন্দ করেন। অতঃপর তিনি বলেন, “হে জিবরাঈ’ল আমার (মুমিন) বান্দার এ প্রয়োজন পূরণ কর এবং তা সাময়িক রেখে পেছনে ফেল, কারণ আমি তার কন্ঠস্বর শুনতে ভালবাসি।” আর নিশ্চয় (গুনাহগার) বান্দা আল্লাহকে ডাকে কিন্তু আল্লাহ্ তা ঘৃণা করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ্ বলেন.“হে জিবরাঈ’ল আমার বান্দার প্রয়োজন পূরণ কর এবং তার জন্য তা জলদি কর। কারণ, আমি তার কন্ঠস্বর শুনতে ভালবাসি না।”
ইবনু আসাকির এ হাদীসটি আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৪৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই জিবরাঈ’ল (আ) আদমের প্রয়োজন মেটানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন। অতঃপর কোন অবিশ্বাসী বান্দা যখন দু’আ করে তখন মহান আল্লাহ বলেন, “হে জিবরাঈল! তার প্রয়োজন পূরণ করে দাও। আমি তার দু’আ শুনতে চাই না।” আর কোন মু’মিন বান্দা যখন দু’আ করে তখন আল্লাহ্ বলেন, “হে জিবরাঈল! তার প্রয়োজন স্থগিত রাখ, কারণ আমি তার আহবান শুনতে পছন্দ করি।”
ইবনুন নাজ্জার এ হাদিসটি হযরত জাবির (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৪৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্ বলেন, “আমার প্রতি বান্দার যে ধারণা রয়েছে আমি তার সাথে থাকি। সে যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তখন তার সাথেই থাকি।” রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “আল্লাহর কসম! তোমাদের তওবা করায় আল্লাহ্ সেরূপ আনন্দিত হন, মরুভূমিতে হারিয়ে হারিয়ে যাওয়া প্রাণী খুজে পেলে তোমরা যেরূপ আনন্দিত হও। আমার দিকে যে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। আমার দিকে সে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক গজ অগ্রসর হই; আর সে যখন আমার দিকে পায়দলে অগ্রসর হয়, আমি তখন দ্রুতবেগে তার দিকে অগ্রসর হই।”
মুসলিম এ হাদিসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৪৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্ এক বান্দাকে দোযখে প্রবেশ করানোর আদেশ দেবেন। সে যখন দোযখের প্রান্তদেশে উপনীত হবে, তখন পিছু ফিরে তাকবে এবং বলবে, “আল্লাহর কসম! ‘হে প্রতিপালক! তোমার সম্পর্কে আমার কি ভাল ধারণা ছিল না? তখন মহান প্রতাপশালী আল্লাহর বলবেন, “তাকে ফিরিয়ে আন। কারণ, আমি আমার বান্দার ধারণার সাথে অবস্থান করি।” আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
বায়হাকী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৪৮. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ্ বলেছেন, “ওহে আমার বান্দা! আমার সম্পর্কে তোমার ধারণার সাথে আমি আছি। তুমি যখন আমার আহবান কর, আমি তখন তোমার সাথে থাকি।”
৪৯. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ বলেছেন, “আমার সম্পর্কে বান্দাদের ধারণার সাথে আমি আছি। কেউ যদি সুধারণা পোষণ কর, তবে তার জন্য তা কল্যাণকর। আর যদি সে খারাপ ধারণা পোষণ করে, তবে তার জন্য তা কল্যাণকর।”
তিবরানী এ হাদিসটি হযরত ওয়াসিল (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫০. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ্ বলেন, “আমি আমার প্রতি আমার বান্দার ধারণার সাথে আছি। আর আমাকে যখন সে স্মরণ করে, আমি তখন তার সাথেই অবস্থান করি। সে যদি আমায় মনে মনে স্মরণ করে, আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি। সে যদি আমাকে কোন এক সম্প্রদায়ের মধ্যে স্মরণ করে, তবে আমি তাকে ওর চেয়েও উৎকৃষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে স্মরণ করি। সে যদি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তার দিকে আমি একহাত অগ্রসর হই। সে যদি আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, তবে তার দিকে আমি এক গজ অগ্রসর হই। আর সে যদি আমার দিকে পায়দলে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে আগাই।
আহমদ ও শায়খইন এ হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫১. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও মর্যাদাশালী আল্লাহ্ বলেছেন, “আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণার সাথে আমি আছি। সে যদি আমার প্রতি সুধারণা পোষণ করে তবে তা তারই সাথে থাকবে, আর যদি সে খারাপ ধারণা পোষণ করে, তবেও তা তারই সাথে থাকবে।
আহমদ এ হাদিসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কোন বান্দাই শুধু তিনবার ‘হে প্রভূ’ বলে না; বরং সুমহান আল্লাহ্ বলেন, “ও হে বান্দা! আমি উপস্থিত আছি।” অনন্তর তিনি যা ইচ্ছে তাড়াতাড়ি করেন এবং যা ইচ্ছে বিলম্বিত করেন।
দায়লামী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫৩ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশীল আল্লাহ্ বলেছেন, “আমার কোন বান্দা অন্য কোন প্রিয়বস্তু দ্বারা আমার নিকট প্রিয় হয় না যে পর্যন্ত সে আমি তার প্রতি যা ফরজ করেছি, তা আদায় না করে।”
আল্লাহর হক ও বান্দার হক সম্পর্কে
৫৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ বলেন, “আমার বান্দা আমার অধিকার সংরক্ষণে তৎপর না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার বান্দার কোন অধিকার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহন করি না।”
তিবরানী এ হাদীসটি হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
আল্লাহর দীদার সম্পর্কে
৫৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ্ বলেছেন, “আমার বান্দা যখন আমার দিদারকে ভালবাসে, আমিও তার সাক্ষাত ভালবাসি। আর সে যখন আমার দিদারকে অপছন্দ করে, আমিও তার সাক্ষাত ঘৃণা করি।”
মালেক ও বুখারী এ হাদিসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্ বলেছেন, “ওহে মূসা! তুমি কখনো আমাকে দেখবে না। জীবিত কেউ মৃত্যুবরণ করা ছাড়া আমাকে দেখবে না। স্থলভাগের কোন অধিবাসী দেখবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে নীচে নিক্ষেপ করা হয় (অর্থাৎ তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত )। জলভাগের কোন অধিবাসীও আমাকে দেখবে না, যে পর্যন্ত না তাকে পৃথক করা হয় (অর্থাৎ মৃত্যু হয়)। নিশ্চয়ই আমাকে বেহেশতীগণ দেখবে, যাদের চোখ দৃৃষ্টি শুণ্য করা হবে না এং যাদের দেহ জীর্ন হবে না।”
হাকীম ও তিরমিযী এ হাদিসটি হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- বেহেশতীগণ যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে, তখন সুমহান আল্লাহ বলবেন, “তোমরা কি চাও যে, আমি তোমাদেরকে আরও বেশী কিছূ দেই?” তারা বলবে, “ আপনি কি আমাদের মুখমন্ডলসমূহকে উজ্জল করেন নি?” আপনি কি আমাদেরকে বেহেশতে প্রবেশ করাননি এবং দোযখ থেকে নিষ্কৃতি দেননি?” তখন আল্লাহ্ তার হিজাব (আলোর পর্দা) খুলে দেবেন। অতঃপর তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের দিকে দৃষ্টিপাত করা অপো অধিকতর প্রিয় কোন বস্তু দেয়া হবে না।”
তিরমিযী ও মুসলিম এ হাদীসটি সুহাইব (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুনা সম্পর্কেঃ
ইবন্ শাহীন এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
‘মুমিনের ডাক’ আল্লাহর খুব প্রিয়ঃ
৪৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয় বিশ্বাসী মু’মিন বান্দা আল্লাহকে ডাকে, অনন্তর আল্লাহ্ তা পছন্দ করেন। অতঃপর তিনি বলেন, “হে জিবরাঈ’ল আমার (মুমিন) বান্দার এ প্রয়োজন পূরণ কর এবং তা সাময়িক রেখে পেছনে ফেল, কারণ আমি তার কন্ঠস্বর শুনতে ভালবাসি।” আর নিশ্চয় (গুনাহগার) বান্দা আল্লাহকে ডাকে কিন্তু আল্লাহ্ তা ঘৃণা করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ্ বলেন.“হে জিবরাঈ’ল আমার বান্দার প্রয়োজন পূরণ কর এবং তার জন্য তা জলদি কর। কারণ, আমি তার কন্ঠস্বর শুনতে ভালবাসি না।”
ইবনু আসাকির এ হাদীসটি আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৪৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই জিবরাঈ’ল (আ) আদমের প্রয়োজন মেটানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন। অতঃপর কোন অবিশ্বাসী বান্দা যখন দু’আ করে তখন মহান আল্লাহ বলেন, “হে জিবরাঈল! তার প্রয়োজন পূরণ করে দাও। আমি তার দু’আ শুনতে চাই না।” আর কোন মু’মিন বান্দা যখন দু’আ করে তখন আল্লাহ্ বলেন, “হে জিবরাঈল! তার প্রয়োজন স্থগিত রাখ, কারণ আমি তার আহবান শুনতে পছন্দ করি।”
ইবনুন নাজ্জার এ হাদিসটি হযরত জাবির (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৪৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্ বলেন, “আমার প্রতি বান্দার যে ধারণা রয়েছে আমি তার সাথে থাকি। সে যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তখন তার সাথেই থাকি।” রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “আল্লাহর কসম! তোমাদের তওবা করায় আল্লাহ্ সেরূপ আনন্দিত হন, মরুভূমিতে হারিয়ে হারিয়ে যাওয়া প্রাণী খুজে পেলে তোমরা যেরূপ আনন্দিত হও। আমার দিকে যে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। আমার দিকে সে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক গজ অগ্রসর হই; আর সে যখন আমার দিকে পায়দলে অগ্রসর হয়, আমি তখন দ্রুতবেগে তার দিকে অগ্রসর হই।”
মুসলিম এ হাদিসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৪৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্ এক বান্দাকে দোযখে প্রবেশ করানোর আদেশ দেবেন। সে যখন দোযখের প্রান্তদেশে উপনীত হবে, তখন পিছু ফিরে তাকবে এবং বলবে, “আল্লাহর কসম! ‘হে প্রতিপালক! তোমার সম্পর্কে আমার কি ভাল ধারণা ছিল না? তখন মহান প্রতাপশালী আল্লাহর বলবেন, “তাকে ফিরিয়ে আন। কারণ, আমি আমার বান্দার ধারণার সাথে অবস্থান করি।” আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
বায়হাকী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৪৮. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ্ বলেছেন, “ওহে আমার বান্দা! আমার সম্পর্কে তোমার ধারণার সাথে আমি আছি। তুমি যখন আমার আহবান কর, আমি তখন তোমার সাথে থাকি।”
৪৯. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ বলেছেন, “আমার সম্পর্কে বান্দাদের ধারণার সাথে আমি আছি। কেউ যদি সুধারণা পোষণ কর, তবে তার জন্য তা কল্যাণকর। আর যদি সে খারাপ ধারণা পোষণ করে, তবে তার জন্য তা কল্যাণকর।”
তিবরানী এ হাদিসটি হযরত ওয়াসিল (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫০. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ্ বলেন, “আমি আমার প্রতি আমার বান্দার ধারণার সাথে আছি। আর আমাকে যখন সে স্মরণ করে, আমি তখন তার সাথেই অবস্থান করি। সে যদি আমায় মনে মনে স্মরণ করে, আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি। সে যদি আমাকে কোন এক সম্প্রদায়ের মধ্যে স্মরণ করে, তবে আমি তাকে ওর চেয়েও উৎকৃষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে স্মরণ করি। সে যদি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তার দিকে আমি একহাত অগ্রসর হই। সে যদি আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, তবে তার দিকে আমি এক গজ অগ্রসর হই। আর সে যদি আমার দিকে পায়দলে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে আগাই।
আহমদ ও শায়খইন এ হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫১. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও মর্যাদাশালী আল্লাহ্ বলেছেন, “আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণার সাথে আমি আছি। সে যদি আমার প্রতি সুধারণা পোষণ করে তবে তা তারই সাথে থাকবে, আর যদি সে খারাপ ধারণা পোষণ করে, তবেও তা তারই সাথে থাকবে।
আহমদ এ হাদিসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কোন বান্দাই শুধু তিনবার ‘হে প্রভূ’ বলে না; বরং সুমহান আল্লাহ্ বলেন, “ও হে বান্দা! আমি উপস্থিত আছি।” অনন্তর তিনি যা ইচ্ছে তাড়াতাড়ি করেন এবং যা ইচ্ছে বিলম্বিত করেন।
দায়লামী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫৩ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশীল আল্লাহ্ বলেছেন, “আমার কোন বান্দা অন্য কোন প্রিয়বস্তু দ্বারা আমার নিকট প্রিয় হয় না যে পর্যন্ত সে আমি তার প্রতি যা ফরজ করেছি, তা আদায় না করে।”
আল্লাহর হক ও বান্দার হক সম্পর্কে
৫৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ বলেন, “আমার বান্দা আমার অধিকার সংরক্ষণে তৎপর না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার বান্দার কোন অধিকার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহন করি না।”
তিবরানী এ হাদীসটি হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
আল্লাহর দীদার সম্পর্কে
৫৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ্ বলেছেন, “আমার বান্দা যখন আমার দিদারকে ভালবাসে, আমিও তার সাক্ষাত ভালবাসি। আর সে যখন আমার দিদারকে অপছন্দ করে, আমিও তার সাক্ষাত ঘৃণা করি।”
মালেক ও বুখারী এ হাদিসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্ বলেছেন, “ওহে মূসা! তুমি কখনো আমাকে দেখবে না। জীবিত কেউ মৃত্যুবরণ করা ছাড়া আমাকে দেখবে না। স্থলভাগের কোন অধিবাসী দেখবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে নীচে নিক্ষেপ করা হয় (অর্থাৎ তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত )। জলভাগের কোন অধিবাসীও আমাকে দেখবে না, যে পর্যন্ত না তাকে পৃথক করা হয় (অর্থাৎ মৃত্যু হয়)। নিশ্চয়ই আমাকে বেহেশতীগণ দেখবে, যাদের চোখ দৃৃষ্টি শুণ্য করা হবে না এং যাদের দেহ জীর্ন হবে না।”
হাকীম ও তিরমিযী এ হাদিসটি হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
৫৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- বেহেশতীগণ যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে, তখন সুমহান আল্লাহ বলবেন, “তোমরা কি চাও যে, আমি তোমাদেরকে আরও বেশী কিছূ দেই?” তারা বলবে, “ আপনি কি আমাদের মুখমন্ডলসমূহকে উজ্জল করেন নি?” আপনি কি আমাদেরকে বেহেশতে প্রবেশ করাননি এবং দোযখ থেকে নিষ্কৃতি দেননি?” তখন আল্লাহ্ তার হিজাব (আলোর পর্দা) খুলে দেবেন। অতঃপর তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের দিকে দৃষ্টিপাত করা অপো অধিকতর প্রিয় কোন বস্তু দেয়া হবে না।”
তিরমিযী ও মুসলিম এ হাদীসটি সুহাইব (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুনা সম্পর্কেঃ